আপনি যদি আপনার কসমেটিক ব্যবসা শুরু করতে চান।টপফিল আপনাকে খুব ভাল সাহায্য করতে পারে।

Topfeel হল একটি পেশাদার কসমেটিক ওয়ান স্টপ পরিষেবা প্রদানকারী।পণ্য নকশা, উত্পাদন, বিক্রয় থেকে উচ্চ মানের সেবা প্রদান করতে পারেন.

বিউটি ক্রিম কে আবিস্কার করেন?
আসুন কিছু প্রতিযোগীকে দেখে নেওয়া যাক যারা দাবি করে যে তারা প্রথম স্থানে এই জনপ্রিয় পণ্যটি আবিষ্কার করেছে।

এটা কি প্রাচীন মিশরীয়?
কিছু ঐতিহাসিক বিশ্বাস করেন যে প্রাচীন মিশরীয়রা প্রথম এই পণ্যটি তৈরি করেছিল।প্রাচীনকালে, মিশরীয়রা আবিষ্কার করেছিল যে পশুর চর্বি বিরক্তিকর ত্বককে প্রশমিত করতে পারে।তারা এটিকে অলিভ অয়েল বা অন্যান্য গাছের সাথে মিশিয়ে দেয় যাতে এটি ছড়িয়ে দেওয়া সহজ হয়।

প্রথম দিকের প্রতিযোগীদের মধ্যে একজন ছিলেন মিশরীয় রানী ক্লিওপেট্রা।তার সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত, পরাক্রমশালী রানী মোম, অলিভ অয়েল এবং পিঁপড়ার মিশ্রণ ব্যবহার করে আদিম ধরনের ইমোলিয়েন্ট তৈরি করেছিলেন বলে জানা যায়।

সেই দিনগুলিতে, মিশরীয় পুরুষ এবং মহিলারা তাদের ত্বককে কঠোর সূর্য থেকে রক্ষা করতে এবং তাদের বৈশিষ্ট্যগুলিকে উচ্চারণ করতে প্রসাধনী ব্যবহার করত।নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রসাধনী হল আইলাইনার, যা আইলাইনার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আপনি কি চীনা ছিলেন?
অন্যান্য ইতিহাসবিদরা বিশ্বাস করেন যে চীনারা প্রসাধনী আবিষ্কার করেছিল এবং দাগ এবং বলিরেখা লুকানোর জন্য সেগুলি ব্যবহার করেছিল।চীনে প্রসাধনী ব্যবহারের প্রথম রেকর্ড হান রাজবংশ (202 BC-220 AD) থেকে পাওয়া যায়।

চীনে ফিরে আসার সময়, এটি মূলত ত্বককে কঠোর উপাদান থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।14 শতকে, মিং সম্রাট ঝু ইউয়ানঝাং সমস্ত মহিলাকে শুষ্ক এবং কুঁচকে যাওয়া ত্বক প্রতিরোধ করতে পণ্যটি ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এই সময়ে, চীনা মহিলারা সাদা সীসার পাউডার এবং সবুজ বা কালো কালি দিয়ে তাদের মুখ আঁকার শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য পালন করবেন।প্রদত্ত যে এই পণ্যগুলি ত্বকের জন্য কিছুটা বিষাক্ত হতে পারে, প্রাইমার হিসাবে একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।তারা একটি গভীর কালো আইলাইনার দিয়ে চোখের রূপরেখাও তৈরি করে।একটি ফ্যাকাশে বর্ণ অর্জনের জন্য, মহিলারা রোদ থেকে দূরে থাকেন এবং ট্যানিংয়ের কারণ বলে মনে করা হয় এমন খাবার এড়িয়ে যান।

তুমি কি গ্রীক?
এই জনপ্রিয় পণ্যটি তৈরির কৃতিত্বও গ্যালেনকে দেওয়া হয়, ২য় শতাব্দীর একজন গ্রীক চিকিত্সক যিনি এটিকে ত্বকের রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সার জন্য ব্যবহার করেছিলেন।গ্যালেনের মিশ্রণ তেল, জল এবং মোমের মিশ্রণ থেকে তৈরি করা হয়।এটি ঘন এবং চর্বিযুক্ত এবং ব্যবহার করা খুব আরামদায়ক নয়।যাইহোক, এটি ডার্মাটাইটিস এবং একজিমার মতো ত্বকের অবস্থার চিকিৎসায় কার্যকর।

18 শতকে, পিয়ের-ফ্রাঙ্কোইস বুর্জোয়া নামে একজন ফরাসি চিকিত্সক একটি হালকা, সহজে ব্যবহারযোগ্য গ্যালেনিক ক্রিম তৈরি করেছিলেন।বুর্জোয়াদের বিউটি ক্রিমগুলি তেল, জল এবং অ্যালকোহলের মিশ্রণ থেকে তৈরি করা হয়।এটি গ্যালেনের ক্রিমের তুলনায় অনেক বেশি তৈলাক্ত ছিল এবং দ্রুত নারী ও পুরুষ উভয়ের কাছেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

সুতরাং এই ক্রিমগুলি তৈরি করার জন্য কাকে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত সে সম্পর্কে গল্পের অনেক সংস্করণ রয়েছে, যার কোনও নির্দিষ্ট উত্তর নেই।এই জনপ্রিয় সৌন্দর্য পণ্যটি কে তৈরি করেছে তা আমরা কখনই জানি না, তবে আমরা অবশ্যই এর অনেক সুবিধার প্রশংসা করতে পারি!

সাম্প্রতিক ইতিহাস
মজার বিষয় হল, ভিক্টোরিয়ান যুগ পর্যন্ত সাধারণ জনগণের দ্বারা প্রসাধনী ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত না।এটি মূলত এই সময়ে নারীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের কারণে।ভিক্টোরিয়ান যুগের আগে, এটি ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়েছিল যে মহিলাদের স্বাস্থ্যবিধির জন্য তাদের চেহারা বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল না।

তবে ভিক্টোরিয়ান যুগে নারীদের ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার প্রবণতা বাড়তে থাকে।এটি মহিলাদের তাদের চেহারা উন্নত করতে সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা বিভিন্ন পণ্যের বিকাশের দিকে পরিচালিত করে এবং সৌন্দর্য শিল্পের ভিত্তি স্থাপন করেছিল যেমনটি আমরা আজ জানি।

আজ, শিল্পে বিভিন্ন ধরণের কসমেটিক ক্রিম রয়েছে।কিছু নির্দিষ্ট ত্বকের অবস্থার চিকিত্সার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, অন্যগুলি শুধুমাত্র ময়শ্চারাইজিং বা অ্যান্টি-এজিং উদ্দেশ্যে।

তাহলে প্রথম বিউটি ক্রিম তৈরির কৃতিত্ব কাকে দেওয়া উচিত?এটি একটি খোলা প্রশ্ন, এবং গল্পের বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে।আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে এই জনপ্রিয় পণ্যটি বছরের পর বছর ধরে অনেক দূর এগিয়েছে এবং পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই উপকার করে চলেছে।